আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ - Ayatul Kursi Bangla Meaning
এই সূরাটিতে মহান আল্লাহ তাআলার মহাবিশ্বের ওপর জোরালো ক্ষমতা এর কথা বর্ণনা করা হয়েছে। আবু উমামা থেকে বর্ণিত, বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন: যে ব্যক্তি প্রতি ফরজ নামাজ শেষে আয়াতুল কুরসি পড়ে, তাঁর জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া কোনো কিছু বাধা হবে না।
এছাড়াও আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ , আয়াতুল কুরসি আরবি ও বাংলা উচ্চারণ এবং এর ইতিহাস আলোচনা করবো ।
আয়াতুল কুরসি তেলাওয়াত এর ভিডিওঃ
আয়াতুল কুরসি কি?
আয়াতুল কুরসীতে তাওহীদ, ইখলাস, আল্লাহর ক্ষমতা ও সিফাত সম্পর্কে বলা হয়েছে এবং এতে সমগ্র মহাবিশ্বের উপর আল্লাহর পূর্ণ ক্ষমতা ঘোষণা করা হয়েছে তাই এই আয়াত কে কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ আয়াত বলে দাবি করা হয়।
আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ - ayatul kursi bangla uccharon
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বইয়্যুমু লা তা খুজুহু সিনাত্যু ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিছছামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্। মান যাল্লাযী ইয়াশ ফায়ু ইন দাহু ইল্লা বি ইজনিহি ইয়া লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খল ফাহুম ওয়ালা ইউ হিতুনা বিশাই ইম্ মিন ইল্ মিহি ইল্লা বিমা শাআ ওয়াসিয়া কুরসিইউ হুস ছামা ওয়াতি ওয়াল আরদ্ ওয়ালা ইয়া উদুহু হিফজুহুমা ওয়াহুয়াল আলিয়্যূল আজীম।
আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ ছবি hd ,আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ ছবি
আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ |
আয়াতুল কুরসি আরবি
بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ
اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ ۚ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ ۚ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ ۗ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِندَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ ۚ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ ۖ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ ۚ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ ۖ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا ۚ وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ [٢:٢٥٥]
আয়াতুল কুরসি বাংলা অর্থ - ayatul kursi bangla anubad
আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই, তিনি চিরঞ্জীব (অমর), চিরস্থায়ী/সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছ এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোন কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। এবং তাঁর পদাসন/পা রাখার স্থান সমস্ত আকাশ ও পৃথিবীকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান। [২:২৫৫]
আয়াতুল কুরসির ফজিলত
আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন ‘প্রতি ফরজ নামাজের পর যে ব্যক্তি আয়াতুল কুরসি পড়বে তার জান্নাতে যাওয়ার পথে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো বাধা থাকবে না।’ (আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, নাসায়ি, হাদিস : ১০০)।
উবাই বিন কাব থেকে বর্ণিত, মুহাম্মদ (সা.) উবাই বিন কাবকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তোমার কাছে কুরআন মজীদের কোন আয়াতটি সর্বমহান? তিনি বলেছিলেন, (আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুআল হাইয়্যুল কাইয়্যুম) তারপর রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজ হাত দ্বারা তার বক্ষে (হালকা) আঘাত করে বলেন: আবুল মুনযির! তোমার জ্ঞান আনন্দদায়ক হোক।(সুনানে আবু দাউদ ১৪৬০)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি সকালে আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত শয়তান থেকে রক্ষা পাবে এবং যে সন্ধ্যায় পাঠ করবে সে সকাল পর্যন্ত নিরাপদ থাকবে।
আয়াতুল কুরসি পড়ে বাড়ি থেকে বের হলে ৭০০০০ ফেরেস্তা চর্তুদিক থেকে তাকে রক্ষা করে।
মুহাম্মাদ ইবন ইসমাঈল (রহঃ) বর্ণনা করেন যে, হুমায়দী (রহঃ) আবদুল্লাহ্ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বলেনঃ আল্লাহ্ তা’আলা আসমান ও যমীনে আয়তুল কুরসী অপেক্ষা মহান (আজম) আর কিছু সৃষ্টি (খ্বলাক) করেননি। এর তাফসীরে সুফইয়ান (রহঃ) বলেনঃ আয়াতুল কুরসী হল আল্লাহর কালাম। আর আসমান ও যমীনে আল্লাহর সকল সৃষ্টি থেকে তাঁর কালাম তো মহান হবেই। (সুনান তিরমিজী, ২৮৮৪)
আয়াতুল কুরসির সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
পরিশেষে
আশা করি আপনার ভালো লেগেছে।